সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০১৫


বর্তমানে ডেস্কটপ পিসির
থেকে ল্যাপটপের চাহিদা দিন
দিন বাড়ছে। স্কুল, কলেজ, অফিস-
আদালত থেকে শুরু করে ঘরে-
বাইরে অনেকেই ল্যাপটপ ব্যবহার
করছে। বর্তমানে ল্যাপটপের দাম
অনেক কমে যাওয়ায় ল্যাপটপের
গ্রাহক বেড়েছে। আসুন দেখে
নেই ল্যাপটপের বাজার দর : google
search:::: laptop price in Bangladesh.
আর ল্যাপটপের বহনযোগ্যতার
সুবিধা ও রাখার জন্য কম জায়গার
প্রয়োজন হয় বলে অনেকেই
ডেস্কটপ পিসির চেয়ে
ল্যাপটপকে বেশী প্রাধন্য
দিচ্ছে। ল্যাপটপ ও নোটবুক দুটি
প্রায় এক। তবে ল্যাপটপকে নোটবুক
বলাটা ঠিক নয়। কারন আকার ও
কনফিগারেশন অনুযায়ী এরা
খানিকটা ভিন্ন।
ল্যাপটপগুলোতে বেশ কিছু
বাড়তি সুবিধা দেয়া হয়, যেমন-
টাচ স্ক্রিন,ফিঙ্গারপ্রিন্ট
রিকগনিশন,কার্ড রিডার,
ওয়েবক্যাম, লাইটযুক্ত ভাল
মানের কীবোর্ড ইত্যাদি। আজ
আমি ল্যাপটপ কেনার পূর্বে যে
যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে
তা নিয়ে আলোচনা করব। এই
আলোচনার ম্যাধ্যমে আপনি
আপনার সঠিক মডেলের ল্যাপটপ
বেছে নিতে সহয়তা পাবেন।
আসুন দেখে নেই এই লক্ষণীয়
বিষয়গুলো:
১. ব্যাটারি ব্যাকআপ ল্যাপটপের
জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি
ব্যাপার। যারা অফিস বা
ব্যক্তিগত কাজে বেশির ভাগ সময়
বাহিরে কাজ করেন তাদের জন্য
বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ সম্পন্ন
ল্যাপটপ কেনাই অ্যাবশক।
অধিকাংশ ল্যাপটপের
ব্যাটারি লিথিয়াম আয়নের
হয়ে থাকে। ব্যাটারিতে যত
বেশি সেল থাকবে , ব্যাটারির
ব্যাকআপ সময় ততটাই বেশি হবে।
তাই ল্যাপটপ কেনার সময় এর
ব্যাকআপ সময়টা দেখে কেনা
উচিৎ।
২.সাধারন কাজ যেমন-গান
শোনা, ইন্টারনেট ব্রাউজ করা,
মুভি দেখা অন্যান্য ছোটখাটো
কাজের জন্য কম বাজেটের
ল্যাপটপ কেনাটাই সঠিক
সিদ্ধান্ত। তবে মুভি দেখা যদি
আপনার নেশা হয় তাহলে একটু বড়
স্ক্রিন দেখে ল্যাপটপ নেওয়া
ভাল।
৩. গেম খেলা, ভিডিও
এডিটিং বা গ্রাফিক্সের
কাজের জন্য একটু হাই-
কনফিগারেশনের ল্যাপটপ দরকার।
এজন্য ল্যাপটপ কেনার বাজেটটা
বড়াতে হবে। কারন হাই-
কনফিগারেশনের ল্যাপটপের
দাম খানিকটা বেশী।
ল্যাপটপের CPU ও GPU এর সক্ষমতা
কেমন তা দেখে নিতে হবে।
এছাড়া প্রসেসরের ক্লক স্পিড
বেশী হলে ল্যাপটপের কাজের
স্পীড বেশী হবে। কিন্তু সাধারণ
কাজের জন্য এই স্পীড লক্ষণীয় নয়।
ভিডিও এডিটিং বা
গ্রাফিক্সের মত ভারী কাজের
জন্য Core i3, i5, i7 সিরিজের
ল্যাপটপ কেনা অত্যাবশ্যক।
৪. ল্যাপটপ কেনার সময় এর
হার্ডডিস্ক, র্যাম কত তা দেখে
নিতে হবে। কারন গেম খেলা,
ভিডিও এডিটিং বা
গ্রাফিক্সের কাজের জন্য
কমপক্ষে 4 GB DDR3 র্যাম নেবার
চেষ্টা করতে হবে। DDR3 র্যামের
স্পিড ভালো।
৫.ল্যাপটপে কি কি পোর্ট আছে
তা দেখে কেনা ভাল। যেমন-
USB port, HDMI port, LAN port ,
ইত্যাদি পোর্ট আছে কিনা তা
চেক করে নেওয়া উচিৎ।
বর্তমানে হাই ডেফিনেশন মুভি
ও গেমস খেলার জন্য HDMI Port
দরকার।
৬. বহনযোগ্যতা ল্যাপটপের অন্যতম
একটি দিক। ল্যাপটপের ওজন একটু
কম দেখে কেনা ভাল। এতে
ল্যাপটপ বহন করতে সুবিধা হবে।
এছাড়া কেনার সময় অবশ্যই
ওয়ারেন্টি কার্ড, চার্জার,
ব্যাগ ইত্যাদি অন্যান্য
জিনিসপত্র ল্যাপটপের সঙ্গে
আছে কিনা তা বুঝে নিতে
হবে। এছাড়া অনুমোদিত ডিলার,
আমদানিকারক, বিশ্বস্ত দোকান
থেকে ল্যাপটপ কিনতে হবে।
এতে ওয়ারেন্টি পেতে কোন
ঝামেলা হয় না।
আর পুরনো বা সেকেন্ড হ্যান্ড
ল্যাপটপ কখনই কেনা উচিৎ নয়।
অর্থের বা বাজেটের সমস্যা
থাকলে অপেক্ষা করুন ও ভাল
বাজেটের নতুন ল্যাপটপ কিনুন।
এছাড়া ল্যাপটপ কেনার সময়
আপনি আপনার কোন অভিজ্ঞ বন্ধু
বা আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতা
নিতে পারেন।
ল্যাপটপ ক্রয় করার পূর্বে
পূর্বোল্লিখিত লক্ষণীয় বিষয়
গুলো বিবেচনায় রাখা উচিৎ।
আশা করি এই আর্টিকেলের
ম্যাধ্যমে ল্যাপটপ ক্রয়করতে
সুবিধা পাবেন। ধন্যবাদ।

(collected : shomrat)

আজ

|

Visitors

Flag Counter

Popular Posts